বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০৬ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব এর সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদ্ঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার সহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধর্ষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগণের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী একটি বাসযোগে মাদকদ্রব্য বহন করে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে খাগড়াছড়ি হতে রংপুরের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ১৫ নভেম্বর ২০২৪ইং তারিখ আনুমানিক ২০১০ ঘটিকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল চট্টগ্রাম জেলার জোরাগঞ্জ থানাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বারইয়ারহাট বাজারস্থ গ্রীন টাওয়ারের সামনে পাকা রাস্তার উপর একটি অস্থায়ী চেকপোস্ট স্থাপন করে গাড়ি তল্লাশি শুরু করে। এ সময় র্যাবের চেক পোস্টের দিকে আসা সন্দেহজনক শ্যামলী পরিবহন নামীয় ০১টি বাস থামানোর সংকেত দিলে গাড়িটি চেকপোস্টের সামনে থামিয়ে ০২ জন ব্যক্তি গাড়ি থেকে কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে র্যাব সদস্যরা আসামি ১। মোঃ নুরুজ্জামান (৩৭), পিতা-আঃ হান্নান, সাং-জামতলী ইসলাম কলোনী এবং ২। মোঃ আঃ হান্নান (৩৯), পিতা-মৃত আঃ ছামাদ, সাং-জামতলী বাঙ্গালীপাড়া, উভয় থানা-দীঘিনালা, জেলা-খাগড়াছড়িদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশিকালে আসামিদের দেখানো ও শনাক্তমতে বাসের মালামাল রাখার বক্সের ভিতর বিশেষ কৌশলে রক্ষিত এবং আসামিদের নিজ হাতে বের করে দেয়া মতে ০৫টি সাদা প্লাস্টিকের বস্তা হতে ৫৮ কেজি উদ্ধার এবং মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি বাস সহ আসামিদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
৩। গ্রেফতারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ সুকৌশলে মাদকদ্রব্য খাগড়াছড়ি জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে স্বল্প মূল্যে সংগ্রহ করে পরবর্তীতে রংপুরসহ বিভিন্ন জেলার মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের নিকট অধিক মূল্যে বিক্রয় করে আসছিল। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ০৯ লক্ষ হাজার টাকা।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের এবং জব্দকৃত মাদকদ্রব্য সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে আসামিদেরকে চট্টগ্রাম জেলার জোরারগঞ্জ থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।